নিজস্ব প্রতিবেদক,
আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম দা’ওয়াহ বিভাগের অধ্যাপক ড. শাকের আলম শওক বলেছেন, বিজ্ঞানের জ্ঞান ধর্ম হলো ইসলাম। কেননা জ্ঞান মানুষকে আলোর পথ দেখায়। জ্ঞান মানুষকে ভালো-মন্দ, কল্যাণ-অকল্যাণের পার্থক্য বোঝায়। জ্ঞান বলে দেয় কোন জিনিস তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে উপকৃত করবে। অপরিহার্য জ্ঞান অর্জন করা মুসলমানের জন্য ফরজ। জ্ঞান অর্জন করা মুসলমানের জন্য ফরজে কিফায়া। প্রকৃত পক্ষে জ্ঞানীরা আল্লাহকে বেশি ভয় করেন। আল্লাহভীতি শুধুমাত্র পরকালের মুক্তি নিশ্চিত করে না, দুনিয়াতেও ইজ্জত লাভের উপায় এবং মহান আল্লাহ কাছে সম্মানিত।
আজ বৃহস্পতিবার ৬ষ্ঠ দিনে সকালের সেশনে জামিয়াতুল ইমাম মুসলিম(রহ) উদ্যোগে কক্সবাজারের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অংশ নেয়া শিক্ষক শিক্ষিকা প্রশিক্ষণ কর্মশালা প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেছেন, বিজ্ঞানের জ্ঞান চর্চার মধ্যে মুসলিম উম্মাহর একদল চিকিৎসক, প্রকৃতিবিজ্ঞানী, রসায়নবিদ, পদার্থবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, ভূগোলবিদ ও প্রকৌশলী; আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতিনিধিত্বকারী গবেষক ও পণ্ডিত ব্যক্তির উপস্থিতি আবশ্যক। এটা উম্মাহর সামষ্টিক দায়িত্ব। এই দায়িত্ব অবহেলা করলে সামগ্রিকভাবে সবাইকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
তাই শিক্ষকদেরকে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সময় জ্ঞান, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা দিতে হবে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদেরকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে তাদেরকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া ১০ দিন ব্যাপী সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা চলছল। পরীক্ষা ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনূষ্টিত হবে ১৩ রমজন (৪ এপ্রিল)।
জামিয়াতুল ইমাম মুসলিম (রহ:) প্রতিষ্টাতা পরিচালক সালাহুল ইসলাম জানান, সুশিক্ষা ও মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে মানসম্পন্ন শিক্ষক। শিক্ষকের গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন বিজ্ঞানসম্মত যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা তৈরি করা। চাহিদা ভিত্তিক যুগোপযোগী শিক্ষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধন করা জন্যই শিক্ষক প্রশিক্ষণ ।
উল্লেখ্য,জামিয়াতুল ইমাম মুসলিম (রহ.) কক্সবাজার” এর ব্যবস্থাপনায় গত শুক্রবার প্রথম রমজান থেকে মাসব্যাপী বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে আরবি ভাষার প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু হয়। বিভিন্ন আলিয়া ও কওমি মাদ্রাসার থেকে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীরা মাসব্যাপী আরবি ভাষায় প্রশিক্ষণ ও পাশাপাশি প্রায় শতাধিক শিক্ষক শিক্ষিকাও ১০ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণকালীন থাকা ও খাওয়া সম্পুন্ন ফ্রী সুবিধা পাচ্ছেন।
আজকের প্রশিক্ষক ট্রেইনার পরিচয়ঃ
ড. শাকের আলম শওক। প্রফেসর, দাওয়াহ ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ। প্রাক্তন ডিন, শরীয়াহ ও ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদ, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম। পরিচালক, অ্যারাবিয়ান লিডারশিপ মাদ্রাসা, চট্টগ্রাম। দাওরায়ে হাদিস, আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া চট্টগ্রাম। বিএ অনার্স এবং এমএ, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক কল ইউনিভার্সিটি, লিবিয়া। এমফিল ও পিএইচডি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া।