কক্সবাজারে মৎস্য অধিদপ্তরের অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক্।

দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ করতে কক্সবাজার মৎস্য অধিদপ্তরের চলছে অভিযান। মা ও পোনা নিধন বন্ধে গেলো ২৪ দিনে ৩১ লাখ ৭৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। একই ১৫টি বেহুন্দী জাল, ১টি টানাজাল ও ১টি চরঘেরা জাল জব্দ করা হয়। জেলা মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, জব্দ করা এসব জালের মূল্য আনুমানিক ৩৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

গত (৪ জানুয়ারি) বুধবার থেকে সবধরনের অবৈধ জালের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর।
কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় খাল-বিলে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, ভেসাল ও চায়না জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে শিকারিরা। ফলে বিলুপ্তি ও চরম হুমকিতে রয়েছে দেশীয় প্রজাতির মাছ ও মাছের রেণু পোনাসহ বিভিন্ন প্রকার জলজ প্রাণী।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তারাপদ চৌহান বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছের সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্য অবৈধ ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জালসহ সকল প্রকার জালের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। গত ২৪ দিনে ৩৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার ৩২ লাখ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। যেখানে কারেন্ট জালের পাশাপাশি বেহুন্দী, টানাজাল ও চরঘেরা জাল রয়েছে।
কক্সবাজার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসারের কার্যালয়ে দেওয়া তথ্য দেখা যায়, গত ৪ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত অবৈধ ও নিষিদ্ধ জালের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে। অভিযানে নাজিরারটেক, মহেশখালী চ্যানেল, সোনাদিয়া দ্বীপ, ঘটিভাঙ্গা ও বাঁকখালী নদীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কারেন্ট জাল ৩১ লাখ ৭৫ হাজার, বেহুন্দী জাল ১৫ টি, টানাজাল ও চরঘেরা জাল ১ টি করে জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত কারেন্ট জালের মূল্য ৩১ লাখ টাকা, বেহুন্দী জাল ৭ লাখ টাকা, চরঘেরা জাল ১ লাখ টাকা ও টানাজালের মূল্য ৫০ হাজার টাকা। সবমিলিয়ে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যেখানে ৬টি মোবাইল কোর্ট অভিযান করেছে ৮টি। তারমধ্যে গত ২৪ জানুয়ারি একদিনে ১৫ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। মৎস্য খাতের ভবিষ্যতের স্বার্থেই কারেন্ট জালের ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া জরুরি। এ ব্যাপারে সরকারের মৎস্য অধিদপ্তরকে নিয়মিত অভিযান ও প্রচার-প্রচারণা চালানোর উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অধিদপ্তরঅভিযানকক্সবাজারজব্দটানাজালপ্রজাতির
Comments (০)
Add Comment