নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে ও ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়িত ফিড দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটি প্রকল্প কক্সবাজারের প্রকল্প অংশীদারদের নিয়ে এক কর্মশালার আয়োজন করেছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রকল্প প্রধান ড. মঞ্জুরুল করিম – এর উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে “ওয়ার্কশপ অন সিনার্জিস্টিক পার্টনারশীপ” শিরোনামে আয়োজিত কর্মশালাটি শুরু হয়।
ড. করিম বলেন-২০১৮ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্পটি এর মধ্যে ২৩ জেলার ৩৮৫,০০০ মৎস্যচাষীদের কাছে পৌছাতে পেরেছে যাতে করে এ সকল মৎস্যচাষীদের উৎপাদন ২৭ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অর্জনের জন্য অংশীদারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা উল্লেখ করে তাদের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান।
নগরীর হোটেল সীগাল এ আয়োজিত দিনব্যাপী এ কর্মশালায় ফিড দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটি প্রকল্পের আঞ্চলিক অংশীদারী প্রতিষ্ঠান সমূহের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিগন অংশগ্রহন করেন। তারা এই প্রকল্পের সাথে কাজের মাধ্যমে প্রাপ্ত জ্ঞান এবং তা কাজে লাগানোর অভজ্ঞতা শেয়ার করেন।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন প্রাইভেট সেক্টরের সততা ট্রের্ডাস, শাহ আমানত ট্রের্ডাস, আফতাব ফিড, পেট্রোকেম, ব্যাংক এশিয়া, মা মৎস্য হ্যাচারী এন্ড নার্সারী, আল্লাহওয়ালা মৎস্য হ্যাচারী, কোরাল রীফ তেলাপিয়া হ্যাচারী। এছাড়া বেসরকারী সংস্থা গ্র্রাউস, তাজিংডং, বিএনকেএস, মুক্তি কক্সবাজার ও কোস্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিও এতে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে পালংকি কণ্যা ও শাহ আমানত ট্রেডার্স, মা মৎস্য খামার ও সততা ট্রেডার্স এবং গ্রাউস ও মা মৎস্য খামারের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর ফলে তারা একে অপরের ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে সমন্বিতভাবে কাজ করবে।
কর্মশালায় অংশগ্রহনকারীগন ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে এবং ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ এর কারিগরী সহযোগিতায় বাস্তবায়িত ফিড দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটি প্রকল্পের সফলতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং প্রকল্প পরবর্তী সময়ে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে মৎস্য খাতকে কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন।