কক্সবাজারে ইয়াবা লুটের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি ইয়াবা পাচারের গডফাদার সৈয়দ উল্লাহ ও তার সহযোগী গফুরকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে এক লাখ তিন হাজার ৮০০ পিসি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজার র্যাব-১৫ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক।
গ্রেফতারা হলেন কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়ারছড়া এলাকার মো: হোসেনের ছেলে সৈয়দ উল্লাহ ওরফে ইয়াবা সৈয়দ (৪২) ও তার সহযোগী একই এলাকার মরহুম জমির হোসেনের ছেলে আব্দুল গফুর ওরফে গুড়ুইল্লা (৪০)।
ব্রিফিংয়ে মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক জানান, ১২ আগস্ট (শনিবার) ভোরে কক্সবাজারের শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী সৈয়দ উল্লাহ তার ট্রলারে করে বিপুল পরিমাণ ইয়াবার একটি চালান কক্সবাজার পৌরসভার উত্তর মুনিয়ারছড়ার পানির কুয়া এলাকায় খালাস করার সময় অপর একটি গ্রুপ তার ইয়াবা লুট করার চেষ্টা করে। এতে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় সৈয়দ উল্লাহ ও তার ছয়-সাতজন সহযোগী ইয়াবা ছিনতাইকারী ওই গ্রুপের ওপর ছুরি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে দুদু মিয়া ও মো: রিপন নামে দু’জনকে আহত করে। পরে আহত দুদু মিয়া সৈয়দ উল্লাহকে প্রধান আসামি এবং তার অপর পাঁচ সহযোগীর নাম উল্লেখ করে আঘাত ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ১৩ আগস্ট কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় র্যাব-১৫ হামলাকারী আসামিদের গ্রেফতার ও খালাস করা ইয়াবা উদ্ধারে তৎপরতা বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালি ইউনিয়নের মাদালিয়া পাড়ায় সৈয়দের শ্বশুরবাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করে। পরে তাদের কাছে থাকা প্লাস্টিকের একটি বস্তা থেকে এক লাখ তিন হাজার ৮০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার আসামিদের পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তা।