নিজস্ব প্রতিবেদক,
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের তেলখোলা বটতলী এলাকার গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাত রাসেল বাহিনীর প্রধান শেখ রাসেল ও তার ৬ সহযোগীকে আটক করেছে র্যাব। এসময় ৮ টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র, গোলাবারুদ ও ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার কর হয়।
অপর দিকে কক্সবাজারের বাকখালী নদীর মোহনা খুরুশকুলের কাছে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা সহ এক ইয়াবা কারবারিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাব ১৫ এর উপ অধিনায়ক মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক আজ বুধবার দুপুরে কক্সবাজারে র্যাব কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মেজর সাদিকুল হক জানান গোপন সংবাদ পেয়ে র্যাব ১৫ এর একটি টিম গতকাল মংগলবার রাতে পালংখালী ইউনিয়নের তেলখোলা পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় ডাকাত দলের নেতা শেখ রাসেল এবং তার ৬ সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। তার সহযোগীরা হলেন- মোহাম্মদ ছলিম, নুরুল আমিন, কায়সার উদ্দিন, ছাদেক, সাহাব উদ্দিন ও নুরুল হাকিম। তারা সবাই উখিয়ার পালংখালী ও টেকনাফের রঙ্গিখালী এলাকার বাসিন্দা।
তিনি জানান স্থানীয় কিছু জনপ্রতিনিধিদের প্রশ্রয়ে থেকে রাসেল বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি, খুন, গুম, দখলবাজি, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধ চালিয়ে আসছিলো। তদন্তে এসব জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।
অভিযানের সময় রাসেল বাহিনীর আরো তিন সহযোগি পালিয়ে যায়৷ তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, রাসেলের বিরুদ্ধে ১৫ টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য আসামীদের বিরুদ্ধে ৩/৫ টি করে মামলা রয়েছে। বিভিন্ন সময় এই বাহিনীর হাতে পুলিশ, বিজিবি ও ফরেস্টগার্ডরা হামলার শিকার হয়েছিলো।
অপর দিকে গতকাল মংগলবার রাতে গোপন সংবাদ পেয়ে র্যাবের আরেকটি টিম কক্সবাজারের বাকখালী নদীর মোহনায় খুরুশকুলের কাছে অভিযান চালিয়ে দুটি ফিশিং বোট থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এসময় মাহমুদুল হক নামে এক ইয়াবা কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান গ্রেফতার মাহমুদুল হক মিয়ানমার থেকে সমুদ্র পথে ইয়াবার বড়ো চালান এনে বাকখালী নদীর মোহনায় খুরুশকুলের কাছে খালাস করে এসব ইয়াবা চট্টগ্রাম ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করার পরিকল্পনা করেছিল।