আদালত প্রতিবেদক,
টেকনাফের হ্নীলায় বসতবাড়ি থেকে ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় মোঃ আইজ উদ্দিন নামক আসামির ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সে সঙ্গে তাকে দুই লক্ষ টাকা নগদ অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
দণ্ডিত আসামি মোঃ আইজ উদ্দিন টেকনাফের হ্নীলা নয়াপাড়ার পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়ার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।
এ মামলার পলাতক আসামি মোঃ শামসুদ্দিন ও হাজতী আসামি মোঃ আইয়ুবের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এস.টি মামলা নং-১৪২/২০২১ (জিআর মামলা নং-৫০২/২০১৮, টেকনাফ থানার মামলা নং-৫০) শুনানি শেষে কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডিত আসামি মোঃ আইজ উদ্দিন আদালতের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।
রাষ্ট্র পক্ষে পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম মামলাটি পরিচালনা করেন। আসামিদের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট বেগম শামীম আরা স্বপ্না।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের নাজির বেদারুল আলম।
মামলার নথির সূত্রে তিনি জানান, ২০১৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর টেকনাফের হ্নীলা পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়ার মোঃ আইজ উদ্দিনের বসতবাড়ি থেকে ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব-৭। পরে এ ঘটনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন টেকনাফ ক্যাম্পের ডিএডি মোঃ আব্দুর রহমান। যার থানার মামলা নং-৫০/১৮।
অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, মাদকের মামলাটি তদন্তপূর্বক আসামি আইজ উদ্দিন, মোঃ শামসুদ্দিন মোঃ আইয়ুবের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ এর ১৯(১) ধারার টেবিল ৯(খ)২৫/৩৩ ধারায় ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এস.এম আতিক উল্লাহ। ২০২০ সালের ১৫ মার্চ মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। ঘটনার চার বছর ৫ মাসের মাথায় বিচার প্রক্রিয়া শেষে রায় দিয়েছেন আদালত।
আদালতের এমন রায় মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে ‘যুগান্তকারী ভূমিকা’ রাখবে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ফরিদুল আলম। বিচারে তিনি সন্তুষ্ট।