নিজস্ব প্রতিবেদক,
অসহায় ও দুস্থদের পাশে সৌদিআরবস্থ চকরিয়া রেমিট্যান্স যোদ্ধা সংগঠন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সময় সৌদিআরবের আবহা প্রদেশে প্রতিষ্ঠিত চকরিয়া রেমিট্যান্স যোদ্ধারা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আর্তমানবতার সেবায় কাজ করছে সংগঠনটি।
চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আত্মপ্রত্যয় একঝাঁক যুবক ভাগ্য পরিবর্তন করতে সৌদিআরবে প্রবাস জীবন যাপন করেন। তারা
সুদূর প্রবাসী জীবন যাপন করলেও মাতৃভূমির প্রতি তার রয়েছে অকৃত্রিম ভালোবাসা।
এক প্রশ্নের জবাবে চকরিয়া রেমিট্যান্স যোদ্ধা সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ মিনার বলেন, সৌদিআরব প্রবাস জীবন যাপন করলেও হৃদয়ে থাকে বাংলাদেশ। নিজ গ্রামের অসহায় ও দুঃখী মানুষের জন্য কিছু করতে চেষ্টা করছি। সৌদিআরবের অবস্থানরত প্রবাসীদের একত্রিত করে গত ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি করোনা সংক্রমণের সময় “চকরিয়া রেমিট্যান্স যোদ্ধা সংগঠন” প্রতিষ্ঠাতা করি। সংগঠনের ব্যানারে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সাথে নিয়ে চকরিয়ার বিভিন্ন গ্রামের অসহায় ও দুস্থদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে খিলসাদেক গ্রামের মসজিদ মাদ্রাসার এতিমখানায় সংগঠনের তহবিল থেকে নগদ ১৫ হাজার টাকা অর্থ প্রদান করেছি। একটি দুস্থ পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দিয়েছি। রেপার ফাঁড়ি এতিমখানা ১০ হাজার টাকা নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছি। ভেঙ্গে পড়া মসজিদ নির্মানের জন্য একলাখ তিন হাজার পাঁচশত টাকা নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছি। বিশেষ করে রমজানে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ইফতারে জন্য নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। দক্ষিণ চরপাড়া জিলানী কমপ্লেক্স ছিদ্দীকিয়া মাহমুদিয়া সুন্নিয়া হেফজ খানাও এতিম খানায় নগদ অর্থ সহায়তা,পূর্ব বড় ভেওলার দক্ষিণ চরপাড়া এতিম খানায় নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়। এছাড়া কর্মহীন অসহায় মানুষের কষ্ট লাগবের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য অটোরিকশা ও ক্ষুদ্র পরিসরে দোকান দেয়ার চেষ্টা করছি।
চকরিয়া রেমিট্যান্স যোদ্ধা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব বলেন,প্রবাসে আগের মতো সুযোগসুবিধা নেই। তারপরও এলাকার মানুষের কষ্টের কথা মনে পড়লে মনটি ডুকরে কেঁদে উঠে। দেশের অর্থনৈতিক মন্দা চরম আকার ধারণ করছে। এর মধ্যে আমাদের নিজের অবস্থান থেকে দেশের অসহায় ও দুস্থদের পাশে থাকবার চেষ্টা করছি।
আগামীতেও এলাকার অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে থেকে সবার জন্য সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে অঙ্গীকারাবদ্ধ সৌদিআরবস্থ চকরিয়া রেমিট্যান্স যোদ্ধা সংগঠনের।