রামু প্রতিনিধ।
রামুতে গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বাড়িতে মৃতদেহ রেখে পালিয়েছেন গৃহবধূর স্বামী।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কেচুবনিয়া গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে ২ সন্তানের জননী বেবী আকতারের (২৬) ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত গৃহবধু বেবী আকতারের বাবার বাড়ি উখিয়া উপজেলার কোটবাজার এলাকায়। রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কেচুবনিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী।
রামুর হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, রোববার ভোরেই স্বামীকে বাড়ি থেকে চলে যেতে দেখেন। এ সময় এত ভোরে কোথায় যাচ্ছেন জানালে স্বামী জাহাঙ্গীর তাদের জানায়, তিনি চট্টগ্রাম যাচ্ছেন।
নিহত বেবী আকতারের পিতা বাদশা মিয়া বলেন, তার মেয়ে ভাসুর রশিদ ভোরে তাদের দ্রুত বাড়ি আসার জন্য বলেন। এসে দেখি মেয়ের মৃতদেহ ঝুলছে। পরে ২ নম্বর ওর্য়াডের ইউপি সদস্য জানে আলমসহ স্থানীয় লোকজন ঘরের দরজার তালা ভেঙে ভিতরে গলায় ওড়না প্যাঁচানো ও ঝুলন্ত অবস্থায় বেবীর মরদেহ দেখতে পান। তার ধারনা মেয়েকে পরিকল্পিতাবে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। নিহত বেবী আকতারের মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এলাকাবাসী জানান- গলায় ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ পাওয়া গেলেও পা ছিলেন মাটিতে লাগানো। তাই এটা আত্মহত্যা নাও হতে পারে। তাদের ধারণা বেবীকে তার মারধর করে তাকে হত্যা করা হয়। পরে স্বামী জাহাঙ্গীর আলম হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে গলায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন জানান, বেবী আকতারের মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে এখনই বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হবে।