ডিসকভার কক্স অনলাইন।
কক্সবাজারের মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম ২০২৬ সালে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শিপিং রিপোর্টার্স ফোরাম অব বাংলাদেশ (এসআরএফবি) এবং চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের প্রতিনিধি দলের মাতারবাড়ী বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এ কথা জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর দৃশ্যমান হয়ে গেছে। জুলাই নাগাদ জেটি ও কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এখানে বড় ধরনের ফিডার ভেসেল আসবে। অর্থ ও সময় বাঁচবে। অর্থনীতিতে সুপ্রভাব ফেলবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ; এখনকার স্মার্ট দেশ সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি এ সময় দাবি করেন।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘মাতারবাড়ী বন্দর বাণিজ্যিক হাব হবে। চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির লাইফ লাইন; মাতারবাড়ী বন্দর ও প্যারালাল অর্থনীতির লাইফ লাইন হবে। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। গত এক মাসে পশ্চিমা দেশের ভিআইপি পারসনরা দেশে এসেছে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের কথা জেনে গেছে।’
সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, মাতারবাড়ী বন্দর প্রকল্পের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মো. ইউসুফ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, দেশের প্রথম এবং একমাত্র গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনের জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পটি অনুমোদনের পরে বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হবে। বর্তমানে ড্রইং ডিজাইনের কাজ শেষ হয়েছে। এখন গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার গভীরতাসম্পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এ ছাড়াও অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের উত্তর পার্শ্বে ২ হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও দক্ষিণ পার্শ্বে ৬৭০ মিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাঁধ) নির্মাণের কাজ শেষ। বর্তমানে ৪৬০ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার জেটি ও ৩০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস জেটি নির্মাণ এবং কন্টেইনার ইয়ার্ডসহ সব বন্দর সুবিধাদি নির্মাণের জন্য তিনটি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।