নিজস্ব প্রতিবেদক,
কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের আট ঘন্টা পর ‘মুক্তিপণের বিনিময়ে’ দুই শিশুকে ছেড়ে দিয়েছে দুষ্কৃতিকারিরা।
শুক্রবার মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়ার গহীন পাহাড়ী এলাকায় ভূক্তভোগী শিশুদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে ভূক্তভোগী শিশুদের স্বজনরা মুক্তিপণের বিনিময়ের ছাড়িয়ে আনার দাবি করলেও পুলিশ বলছে, অভিযানের মুখে ওই শিশুদের অপহরণকারিরা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।
উদ্ধার শিশুরা হল- টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. ওবায়দুল্লাহ (১৫) এবং একই এলাকার হোসাইন আলীর ছেলে মো. সালমান (৬)। তারা দুইজনই প্রতিবেশী।
শুক্রবার সন্ধ্যার আগে টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকার প্রতিবেশী দুই শিশু বাড়ী থেকে খেলতে বের হয়। খেলার এক পর্যায়ে ওই শিশুরা বাড়ীর পার্শ্ববর্তী সোনার পাড়া-টেকনাফ আন্ত:সড়কে অবস্থান করছিল। এসময় অটোরিকশা যোগে সেখানে এসে ২/৩ জন দূর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে তাদের তুলে নিয়ে যায়। পরে অপহৃত শিশুদের ছেড়ে দিতে দুষ্কৃতিকারিরা ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান বলেন, শুক্রবার রাতে ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর থেকে অপহৃত শিশুদের উদ্ধারে পুলিশ অভিযান শুরু করে। অভিযানের মুখে অপহরণকারিরা ভূক্তভোগী শিশুদের ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
” এক পর্যায়ে মধ্যরাত দেড়টায় টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকার পাহাড়ী ঢালু থেকে দুই শিশুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। “
পরিদর্শক বলেন, ” উদ্ধার শিশু মো. সালমানের বয়স কম হওয়ায় রাতেই মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া অপর শিশু ওবায়দুল্লাহ’কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। “
এ ব্যাপারে উদ্ধার হওয়া শিশু সালমানের মামাতো ভাই হামিদ হোসেন বলেন, রাতে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে সালমানকে অপহরণকারিরা ছেড়ে দেয়। তাকে আনতে গেলে নিকর্টবর্তী পাহাড়ী এলাকায় অপর শিশু ওয়ায়দুল্লাহ’র কান্নার শব্দ শুনতে পান স্বজনরা।
ভূক্তভোগীদের এ স্বজন বলেন, ” পরে লোকজনের আনাগোনা টের পেয়ে অপহরণকারিরা ওবায়দুল্লাহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এসময় সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। “
পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান জানানা, ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।