বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সম্ভব হয়েছে সমুদ্রবিজয়। বিশাল এই সমুদ্রকে ঘিরে উন্মোচিত হবে ব্লু ইকোনমি-র সম্ভাবনার দ্বার। তিনি বলেন বিশাল এই সমুদ্র সম্পদকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এ জন্য দেশের সমুদ্র বিজ্ঞানীরা কাজ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী আজ “ Planet Ocean: Tides are Changing ” এ প্রতিপাদ্যে কক্সবাজারে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনষ্টিটিউটে ওয়ার্ল্ড ওশান ডে উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরো বলেন সমুদ্র দূষণকে যে কোন প্রকারে রোধ করতে হবে। কক্সবাজারের দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের অমুল্য সম্পদ। প্রতিবছর এই সৈকতে দেশি-বিদেশি প্রচুর পর্যটক আসে। তাই এই সৈকতের সৌন্দর্য অক্ষত রাখতে হবে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনষ্টিটিউটের মহাপরিচালক মঈনুল ইসলাম তিতাসের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনষ্টিটিউটের প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার মো হাসিবুল ইসলাম সহ ইন্সটিটিউটের বেশ কয়েকজন গবেষক।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়,কলেজে-এর বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী.গণমাধ্যমকর্মী,বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধিসহ সমুদ্র গবেষণা ইনষ্টিটিউটের বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জেলা সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশানোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন মুন্না, বোরি’র জেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ, মো. জাকারিয়া, রূপক লোধ প্রমুখ।
১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে প্রকৃতি ও উন্নয়ন নিয়ে একটি কনফারেন্স হয়। তারপর থেকে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব সমুদ্র দিবস।