আবারো দুশ্চিন্তায় উপকূলের জেলেরা

0 ১৫৭

নিজস্ব প্রতিবেদক,

আবারো দুশ্চিন্তায় সাগর উপকূলের জেলেরা। দুর্যোগ শেষ হতে না হতেই আগামী শনিবার (২০ মে) থেকে শুরু হচ্ছে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এ যেন ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে জেলেদের জন্য।

উত্তাল বঙ্গোপসাগরে এলোমেলো ঢেউয়ের কারণে সমুদ্রে টিকতে না পেরে পাঁচ থেকে সাত দিন ধরে ঘাটে নোঙর করে ছিল জেলেরা। মাছ ধরতে না পারায় চরম লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। এরই মধ্যে আবার শুরু হতে যাচ্ছে সমুদ্রে মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা। ইতোমধ্যে নানা সঙ্কটে ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে পড়ছেন উপকূলের হাজার হাজার জেলে। তাদের চোখে মুখে দেখা দিয়েছে হতাশার ছাঁপ। তাই নিষেধাজ্ঞার সময় কমানো অথবা পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।

জেলেরা জানান, সামনের বর্ষায় মাছ ধরার উপযোগী মওসুম। যে সময়টাতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পরার কথা। সে সময়টাতেই থাকবে নিষেধাজ্ঞা। দীর্ঘ সময় মাছ ধরতে না পেরে নতুন করে বইতে হবে ঋণের বোঝা। তাই পেশা ছাড়াতে বাধ্য হবেন অনেকেই। নিষেধাজ্ঞার সময় কমানোর দাবি জেলেদের। এদিকে বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞার সময়ে ভারতের জেলেরা মাছ শিকর করে নিয়ে যায় বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মৎসজীবিরা। তাই ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সরকারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য দু’দেশের সমন্বয়ে নিষেধাজ্ঞার সময়কাল নির্ধারণের দাবি মৎসজীবীদের।

মৎস্য কর্মকর্তা জানান, মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালে বেকার জেলেদের জন্য খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে। এছাড়াও নিষেধাজ্ঞার সময়কালে ভিন দেশী কোনো জেলে যাতে বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ ধরতে না পারে সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং মৎস্য বিভাগ তৎপর থাকবে।

এর আগে গত পহেলা মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তেতুলীয়া নদীসহ দেশের পাঁচ অভায়শ্রমে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা ছিল। ২০ দিনের মাথায় এবার সমুদ্রে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা! ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ থাকবে।

রিপ্লাই করুন

Your email address will not be published.